মো:আমিনুল ইসলাম
কাউনিয়ায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে অ্যানথ্রাক্স রোগ। এতে করে আক্রান্ত হচ্ছে গরু বাছুর।প্রাণী সম্পদ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা তৎপর রয়েছে। গ্রামে বাড়ি গিয়ে দেওয়া হচ্ছে অ্যানথ্রক্স বা তড়কা রোগের টিকা। আক্রান্ত গরুর মাংস কাটা,নাড়াচাড়া ও খাওয়ার কারণে উপজেলার ঠাকুরদাস গ্রামের চারজনের নমুনা শনাক্ত সোহেল (৩৫)এরশাদুল ইসলাম (৪০) জাহিদ হোসেন (২৮) ও শান্তা বেগম(২৫)। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ উল্লেখিত রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) পাঠিয়েছেন।
কাউনিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এ আর এম আল মামুন বলেন পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলায় তড়কা (অ্যানথ্রাক্স) রোগের প্রাদূর্ভাব দেখা দেওয়ায় আমরা সর্তকতা অবলম্বন করি। প্রতিটি ইউনিয়ন টিম গঠন করে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করি। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় ৩ হাজার ৫শ' টিকা দেয়া হয়েছে। টিকাদান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ২ হাজার সচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। চাষীদের আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নাই।
এ বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যও পঃপঃ কর্মকর্তা জানান হারাগাছ ঠাকুরদার বটতলা এলাকার চারজনের নমুনা সংগ্রহ শনাক্ত করে ঢাকা আইইডিসিআর এ পাঠানো হয়েছে।
প্রাণী সম্পদ বিভাগ সূত্রে জানাগেছে অ্যানথ্রাক্স (Bacillus Anthracis ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট) মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে মূলত সংক্রামিত পশুদের মাংস বা চামড়ার সংস্পর্শে এলে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অথবা दूषित খাবার গ্রহণের মাধ্যমে। অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধের জন্য আক্রান্ত পশুর মাংস না খাওয়া, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং পশুর চামড়া ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের সময় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
যেভাবে অ্যানথ্রাক্স ছড়ায়:
ত্বকের সংস্পর্শ: এটি সবচেয়ে সাধারণ উপায়। অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর রক্ত, মাংস বা চামড়ার সংস্পর্শে এলে অথবা দূষিত জিনিসপত্র (যেমন: চামড়া) হাতে লাগলে ত্বকের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।শ্বাসের মাধ্যমে: অ্যানথ্রাক্স স্পোর (জীবাণুর একটি রূপ) শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে ফুসফুসে প্রবেশ করলে এটি "ইনহেলেশন অ্যানথ্রাক্স" নামে পরিচিত, যা মারাত্মক হতে পারে। খাদ্যের মাধ্যমে ছড়ায় : দূষিত খাবার, বিশেষ করে অসম্পূর্ণভাবে রান্না করা মাংস, খেলে পেটের মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়:
পশুর মাংস ও চামড়া: আক্রান্ত পশুর কাঁচা বা अधেকাটা মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। পশুর চামড়া ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের সময় সতর্ক থাকুন।
স্বাস্থ্যবিধি: অ্যানথ্রাক্স আক্রান্ত পশুর সংস্পর্শে এলে দ্রুত হাত ধুয়ে ফেলুন।
সচেতনতা:
গবাদিপশু বা পশম প্রক্রিয়াকরণ কারখানার কর্মীদের মধ্যে অ্যানথ্রাক্স হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে, তাই তাদের বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রধান সম্পাদকঃ মোঃ আরমান হোসেন ,সম্পাদকঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম বাবু , নির্বাহী সম্পাদকঃ মোঃ ইমরুল হকবার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২৭/বি ১ম কলোনি, মাজার রোড় মিরপুর - ১ ঢাকা, অফিস নাম্বারঃ ০৯৬১১৫২৮২৭২, Email: sottoprokash8643@gmail.com
Copyright © 2025 দৈনিক সত্য প্রকাশ. All rights reserved.