রংপুরের মানবিক আনসার হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন রংপুর সদর উপজেলা প্রশিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির ।
বর্তমানে তিনি স্থানীয়ভাবে “মানবিক আনসার মনির” নামেই পরিচিত সবার কাছে। নিজের দায়িত্বশীল কর্মজীবনের পাশাপাশি সমাজের গরিব, দুঃখী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি হয়ে উঠেছেন মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
দীর্ঘদিন ধরে আনসার বাহিনীতে সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে সরকারি দায়িত্বের বাইরে মানবিক কাজই তাকে আলাদা করেছে সবার কাছে। তিনি নিজের সীমিত সামর্থ্য নিয়েই বিভিন্ন সময় এলাকার দরিদ্র ও অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান। কেউ অসুস্থ হলে দেন চিকিৎসা সহায়তা, কারও বাড়িতে খাদ্য সংকট দেখা দিলে পৌঁছে দেন চাল, ডাল, তেলসহ প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। এমনকি শীতকালে অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল ও পোশাক বিতরণও করেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনির শুধু সমাজের সাধারণ দরিদ্রদেরই নয়, আনসার বিভাগের নিম্নআয়ের (ভিডিপি )সদস্যদের প্রতিও সহানুভূতিশীল। অনেক সময় নিজ উদ্যোগে সহকর্মীদের সাহায্য করেছেন যাদের পরিবারে সংকট দেখা দিয়েছে।
রংপুর শহরের বিভিন্ন এলাকার মানুষ জানিয়েছেন, মনিরের কাজ নিঃস্বার্থ ও নিরলস। তিনি প্রচারের জন্য কাজ করেন না, বরং নীরবে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার চেষ্টা করেন। তার মানবিক কর্মকাণ্ডে অনেক তরুণ অনুপ্রাণিত হয়ে এখন সামাজিক কাজে যুক্ত হচ্ছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মনির বলেন,
মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকা আমার দায়িত্ব। আমি আনসার বাহিনীর একজন সদস্য দেশের নিরাপত্তা ও জনগণের সেবাই আমার মূল কাজ। তবে সমাজের গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানো আমার ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা। কাউকে হাসাতে পারলে সেটাই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন।”
মনিরের এই মানবিক উদ্যোগ ইতোমধ্যে আনসার বিভাগের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও উৎসাহ জাগিয়েছে। অনেকেই তার অনুপ্রেরণায় নিজের এলাকাতেও সাহায্য কার্যক্রম শুরু করেছেন।
রংপুর সদর উপজেলার একাধিক ভিডিপি সদস্য বলছেন,
মনির স্যার শুধু একজন আনসার নয়, তিনি মানবতার এক আলোকবর্তিকা। তার মতো মানুষ থাকলে সমাজে দুঃখী মানুষদের কষ্ট অনেকটাই কমে যাবে।