মোঃ আরমান হোসেন
গাজীপুরের কাশিমপুরে ১২ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ধর্ষণের আলামত নষ্ট ও ভিডিও ভাইরাল করার অভিযোগে বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়াও এলাকাবাসী বলছেন, ধর্ষণকারীকে বাঁচাতে কৌশলে বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়েছে। তবে তাকে কোন মামলায় আদালতে পাঠানো হয়েছে, তা নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় একটি রাজনৈতিক দলের নেতার সুপারিশে মামলা হালকা করার অভিযোগ উঠেছে থানার অফিসার-ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
ভিকটিমের মা মরিয়ম আক্তার জানান, আমার মেয়েকে প্রতিবেশী এনামুল হক ১০০ টাকার বিনিময়ে থালাবাসন পরিষ্কার করার কথা বলে নিজ কক্ষে নিয়ে যায়।সেখানে মোবাইল ফোন দেখানোর কথা বলে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করেন এবং শেষ পর্যন্ত জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করেন।
কিশোরীর চিৎকার শুনে বাড়ির অন্যান্য ভাড়াটিয়া এবং বাড়িওয়ালা আব্দুর রউফ এগিয়ে এসে রুমের ভিতরে ধর্ষণকারী এনামুল ও ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে ফেইসবুক লাইভে ছেড়ে দেন বাড়ীওয়ালা আব্দুর রউফ। পরে এই ঘটনায় ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যকর সৃষ্টি হয়। আর এঘটনার জের ধরে বাড়িওয়ালাকে আটক করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এঘটনায় গতকাল শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ভুক্তভোগীর মা মরিয়ম কাশিমপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণকারী এনামুল হক এবং বাড়িওয়ালা আব্দুর রউফকে আটক করে।
কাশিমপুর থানার অফিসার-ইন-চার্জ মনিরুজ্জামান জানান, “ভুক্তভোগীর মা থানায় মামলা দায়ের করেন, আমরা ধর্ষণকারী ও বাড়িওয়ালাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি।”তবে ধর্ষণকারীকে ধর্ষণ মামলায় ও বাড়িওয়ালাকে নন-এফআইআর মামলায় কেনো আদালতে পাঠানো হলো, এবিষয়ে ওসি কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি এবং কোন কথার উত্তর না দিয়ে মোবাইল ফোনটি তিনি কেটে দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আব্দুর রউফকে থানা থেকে ‘ছাড়িয়ে’ নেওয়ার জন্য স্থানীয় একজন বিএনপি নেতার সুপারিশ কাজ করেছে।অভিযোগ রয়েছে, উক্ত নেতার চাপে বা সুপারিশে কাশিমপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান আব্দুর রউফের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি ইচ্ছাকৃতভাবে হালকা করেছেন।