তারিকুল আলম
সিরাজগঞ্জ তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নে সেলাই মেশিন বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক , ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, ইউপি সচিব আলাউদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুল খালেক এবং ইউপির সকল মেম্বারের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে , এবং বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি দামে মেশিন কিনে অতিরিক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। ১৮ টি বরাদ্দকৃত সেলাই মেশিন গরিব অসহায় মহিলাদের মাঝে বিতরণ না করে, তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, ইউনিয়ন উন্নয়ন সহায়তা (এডিপি পি আই সি) প্রকল্পে ২০২৪/ ২০২৫ ইং অর্থ বছরের দরিদ্র ও বেকার নারীদের জন্য বাটারফ্লাই/ সিঙ্গার ব্র্যান্ডের ১৮ টি সেলাই মেশিন কেনা হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত সেলাই মেশিন গরিব অসহায় ও বেকার মহিলাদের মাঝে বিতরণ না করে, তারা নিজেদের আত্মীয় স্বজনদের মাঝে বিতরণ করে বিক্রয় করার অভিযোগ উঠেছে।
এই সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কে ইউনিয়ন পরিশোধে না পেয়ে, মুঠোফোনের জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি সচিব এবং উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি ভালো বলতে পারবে এবং ইউনিয়ন পরিষদে বক্তাদের তালিকা আছে আপনারা চাইলে সেখান থেকে তালিকা নিতে পারবেন। সরজমিনে গিয়ে নওগাঁ ইউপি সচিব আলাউদ্দিন সাহেব কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন আমার কাছে কোন তালিকা নেই চেয়ারম্যান সাহেব আপনাদেরকে ভুল তথ্য দিয়েছেন তালিকা আছে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলীর দপ্তরে। পরে সরজমিনে সাংবাদিকরা তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক সাহেব কে সেলাই মেশিন বিতরণের তালিকা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমার দপ্তরের তালিকা নেই এই তালিকা তো ইউনিয়ন পরিষদে থাকার কথা।
আর আপনারা এই তালিকা দিয়ে কি করবেন অজাথা, আমি ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সচিব সাহেব কে বলে দিচ্ছি উনারা আপনাদের সাথে মিটমাট করে নিবে খামাখা নিউজ করার কোন দরকার নাই এই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে নিউজ করে লাভ কি। এই সমস্ত কথা বলে তিনি সাংবাদিকদের বুঝানোর চেষ্টা করেন। উক্ত বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব নুসরাত জাহান কে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, উক্ত বিষয়ে আমি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হলাম এবং আমি বিষয়টি দেখব।
উক্ত বিষয়ে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনসাধারণ সুদৃষ্টি কামনা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।