শামীম শাহরিয়ার
মাদক আজকের সমাজের জন্য এক ভয়াবহ অভিশাপে পরিণত হয়েছে। শুধু প্রশাসনের উদ্যোগে এ মহামারি রোধ সম্ভব নয়—প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রতিরোধ। এ বিষয়ে দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন জিয়া প্রজন্ম দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান জনাব মোঃ মাসুদ।
তিনি বলেন, অতীতের তুলনায় বর্তমানে মাদকের প্রভাব ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উঠতি বয়সের তরুণ সমাজ। যে বয়সে তাদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও স্বপ্ন গড়ে ওঠার কথা, সে সময়েই তারা মাদকের অন্ধকারে হারিয়ে যাচ্ছে। তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে এখনই সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
১️⃣ মাদকের ক্ষতিকর দিক প্রচার
আলোচনা সভা, সেমিনার, প্রচারণা ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরা প্রয়োজন। সচেতনতা তৈরি হলে মানুষ মাদক গ্রহণের আগে অন্তত একবার ভাববে।
২️⃣ বিকল্প বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি
খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্লাব কার্যক্রমকে উৎসাহিত করতে হবে। তরুণরা যদি সুস্থ বিনোদনের সুযোগ পায়, তবে তারা মাদকের প্রতি আকৃষ্ট হবে না।
৩️⃣ মাদকের সহজলভ্যতা রোধ
প্রশাসনের পাশাপাশি সমাজের সচেতন মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের প্রতিরোধ ও তাদের কর্মকাণ্ড বন্ধে সামাজিক উদ্যোগ অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
৪️⃣ পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধি
প্রতিরোধ শুরু করতে হবে পরিবার থেকেই। পরিবার যদি সন্তানদের প্রতি যত্নবান ও সচেতন থাকে, তবে তাদের মাদক থেকে দূরে রাখা অনেকাংশেই সম্ভব হবে।
শুধু সরকারের প্রচেষ্টায় নয়, বরং সামাজিক সচেতনতা ও সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই মাদক প্রতিরোধ সম্ভব। আসুন—প্রত্যেকে নিজ নিজ স্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি এবং তরুণ প্রজন্মকে আলোর পথে পরিচালিত করি।