1. admin@dainiksattoprokash.com : admin :
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

কে হচ্ছেন জনপ্রশাসন সচিব

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৭২ ০ বার পঠিত

সত্য প্রকাশ ডেস্ক

পরবর্তী জনপ্রশাসন সচিব কে হচ্ছেন? এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে প্রশাসন পাড়ায় আগ্রহের যেন কমতি নেই। অপরদিকে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এ পদটির প্রতি নির্বাচনমুখী সব রাজনৈতিক দল তীক্ষ্ণ নজর রাখছে। এমনকি কোনো কোনো দল তাদের পছন্দের আমলাকে এ পদে বসাতে পর্দার আড়ালে চেষ্টা-তদবিরেও ব্যস্ত। এছাড়া পোস্টিং পেতে কয়েকজন আমলাও সরকারের নীতিনির্ধারক মহলের কাছে নিজের দক্ষতা-যোগ্যতা ও নিরপেক্ষতার ফিরিস্তি তুলে ধরে দৌড়ঝাঁপ করছেন। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমানকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ২১ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা কমিশনে সদস্য হিসাবে বদলি করা হয়। এরপর থেকে প্রশাসনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদটি শূন্য রয়েছে। এ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসনের নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতিসহ গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামী নির্বাচনে ডিসিসহ মাঠ প্রশাসনে কারা দায়িত্ব পালন করবেন, সেটি এখন মুখ্য আলোচ্য বিষয়। এজন্য জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে জনপ্রশাসন সচিব পদে নিয়োগের বিষয়টি বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

নয় দিনের নিউইয়র্ক সফর শেষে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেছেন। এর আগে ২২ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। মূলত এ কারণে জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগে বিলম্ব হয়েছে। সূত্র বলছে, রোববার অফিস খোলার পর নতুন সচিব নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে। বিলম্ব হলে বড়জোর সোমবার জিও জারি হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ পদে নিয়োগ নিয়ে এখন পর্যন্ত ৫-৬ জন কর্মকর্তার নাম আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে। যাদের মধ্যে বর্তমানে চুক্তিতে নিয়োজিত ২-৩ জন সিনিয়র সচিবও আছেন। এছাড়া বাকিরা নিয়মিত ব্যাচের। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্র যুগান্তরকে জানায়, জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগের বিষয়টি জটিল সমীকরণে আটকা পড়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো নামই চূড়ান্ত হয়নি। একটি দল তাদের পছন্দের একজন সচিবকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসনে বদলি করে আনতে চায়। আবার সেখানে নিতে চায় তাদের পছন্দের আরেকজন সচিবকে। তিনিও উন্নয়নসংশ্লিষ্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। তাহলে নির্বাচনের সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয় থাকবে তাদের কব্জায়। তবে এ উদ্যোগে পুরোপুরি ভেটো দিয়েছে প্রভাবশালী একটি দল। তারা ইতোমধ্যে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে,

দলবাজ হিসাবে চিহ্নিত কোনো কর্মকর্তাকে তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দেখতে চান না। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে হলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে একজন শতভাগ পেশাদার, সাহসী, সৎ ও দক্ষ সচিব নিয়োগ দিতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সিনিয়র আমলাদের মধ্যে ভূতাপেক্ষভাবে সচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া ১৯৮৪ ব্যাচের একজন কিছুটা এগিয়ে আছেন। এ কর্মকর্তা ইতোমধ্যে সচিবালয়ে কর্মচারী আন্দোলন সামাল দেওয়াসহ আওয়ামী লীগ আমলে পদোন্নতি বঞ্চিতদের পদোন্নতি প্রদানের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। এছাড়া নিয়মিত ব্যাচ থেকে নিয়োগ দেওয়া হলেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে। পেশাদার আমলা ছাড়া দলীয়ভাবে চিহ্নিত কাউকে নিয়োগ দেওয়া হবে না। অপরদিকে বর্তমানে চুক্তিতে নিয়োজিত সচিবদের মধ্যে যারা নিজ মন্ত্রণালয়ে উল্লেখযোগ্য সফলতা দেখাতে পারেননি তাদের ভাগ্যেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জুটবে না।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার শুরু থেকেই শক্ত হাতে প্রশাসন পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা সবার সামনে স্পষ্ট। তিনি মনে করেন, এত ব্যর্থতা সত্ত্বেও জনপ্রশাসন সচিব নিয়োগ অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বড় পরীক্ষা। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হলে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য, সৎ, যোগ্য ও পেশাদার আমলাকে নিয়োগ দিতে হবে।

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© ২০২৫ দৈনিক সত্য প্রকাশ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।