মো:হানিফ মিয়া
কুমিল্লা তিতাসের কলাকান্দি ইউনিয়নোর ১নং ওয়ার্ড মাছিমপুর গ্রামের মোসলেম উদ্দিন ও তার স্ত্রী মাদকাসক্ত ছেলে মাঈনুদ্দিন কে ভালো করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে তার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে আত্ম হ*ত্যা করার চেষ্টা করলে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর- ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে তিতাস থানা পুলিশ। গত
১৭/০৮/২৫ ইং তারিখ বেলা ২ টা ৩০ মিনিটে ৯৯৯ এর কল ” মাছিমপুরে মাদকাস*ক্ত ছেলের যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে বাবা আত্মহ*ত্যার পথ বেঁচে নেওয়ার চেষ্টা করে।তিতাস থানা মোবাইল টিম অফিসার এস আই আবুল বাশার জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ কল দেওয়া তথ্যমতে মাছিমপুর গ্রামের মো:মোসলেম উদ্দীনের বাড়িতে গিয়ে মোসলেম উদ্দিনকে হাতে একটি দড়িসহ উদ্ধার করে এবং মাদকাসক্ত ছেলে মাইনুদ্দিনকে তার বাবা-মাকেসহ থানায় নিয়ে আসে।
অতি দরিদ্র বাবা,ছেলের অ*ত্যাচারে ও মা*দকের টাকা জোগাড় করতে না পেরে আত্মহ*ত্যার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলে জানায়। ছেলে মাইনুদ্দিনকে অনেক সময় নিয়ে থানায় কাউন্সিলিং করা হয় । একপর্যায়ে মাইনুদ্দীন তার ভূল বুঝতে পারে। সে আর মাদক সেবন করবে না, ভাল হয়ে যাবে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে বলে অঙ্গীকার করে এবং প্রাথমিকভাবে তিতাস থানায় কাজ করবে বলে সম্মত হয়।
তিতাস থানার প্রাঙ্গণে কিছুক্ষণ কাজ করার পর তাকে গোসল করিয়ে থানা মসজিদে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় শেষে রাতের খাওয়া-দাওয়ার পর থানার কাজে দায়িত্বে থাকা আউটসোর্সিং ইমরানের সাথে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়।এরপর ভোরে ফজরের নামাজ পড়ার পর ইমরানকে ফাঁকি দিয়ে সকলের অগোচরে পালিয়ে যায়। বাড়িতে গিয়ে আবার সে তার বাবা-মায়ের উপর অত্যাচার নির্যাতন করতে থাকে। আসলে “চোর “না শুনে ধর্মের কাহিনী ” সেটাই প্রমাণ হলো। শত চেষ্টা করে করেও মাইনউদ্দিনকে তিতাস থানা পুলিশ ও মা-বাবা ভালো করতে ব্যর্থ হয়।
তিতাস থানা পুলিশ তাকে কাজের ব্যবস্থা করেও তাকে রাখতে পারেনি।তবে এটা ছিল তিতাস থানার একটি ভালো উদ্যোগ।
মাইনুদ্দিনের বাবার সাথে পুলিশের প্রায় যোগাযোগ হয়। তার ধারাবাহিকতায় অবশেষে মাইনুদ্দিনকে আটক করে অদ্য ২৭/০৮/২৫ ইং তারিখ বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয় তিতাস থানা পুলিশ।