রতন কুমার ঘোষ
গতকাল শনিবার রাত ১১ ঘটিকার সময় মোঃ জাকিরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কোয়াটার মাষ্টার কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ান (৪৭ বিজিবি) এর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভেড়ামারার দক্ষিণ রোলগেটস্থ শাহিনের মুদি দেকানের এর পাশের একটি ঘরে ১৮ জন টাকা দিয়ে জোয়া খেলছে। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসাইন মহোদয়কে (বিজিবি) বিষয়টি অবহিত করলে, তাহার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য বিজিবি ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে সত্যতা পাওয়া যায়। ঘটনস্থালেই ১৮ জনকে হাতেনাতে আটক করেন।
কার্যত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটককৃত ১৮ জনের উপস্থিত বক্তব্য শোনেন এবং অপরাধীরা তাহাদের অপরাধ স্বীকার করেন। অপরাধীরা হলেন…..
1) মোঃ মিজানুর রহমান শাহিন (52),পিতা-মোঃ মিরাজুল ইসলাম, সাং-পৌর চাঁদগ্রাম, 2) মোঃ রাজন (31), পিং-মোঃ আমজাদ হোসেন, সাং-জয়ভোগা, দৌলতপুর, 3) মোঃ আসাদুজ্জামান (45), পিং-মৃত ছৈয়াদ আলী, সাং-কল্যাণপুর, দৌলতপুর, 4) মোঃ বিপুল (38), পিং-মীর এনামুল হক, সাং-চন্ডিপুর, ভেড়ামারা, 5) মোঃ কিরন (31) পিং-মৃত তৈজদ্দিন হক, সাং-জয়ভোগা, দৌলতপুর, 6) মোঃ নাহেদ হাসান, পিং-মোঃ সাবান আলী, সাং-নওদাপাড়া, 7) মোঃ ছোটন (21), পিং-রেফেজ উদ্দিন, সাং-কল্যাণপুর, দৌলতপুর, 8) মোঃ টিপু সুলতান (28), পিং-আবু বক্কর, সাং-আল্লারদর্গা, দৌলতপুর, 9) মোঃ জুয়েল রানা (33), পিং-মৃত সৌকত, সাং-ডিংগাদহ বাজার, চুয়াডাঙ্গা, 10) মোঃ আলীহিম (38) পিং-খায়বার মন্ডল, সাং-চুয়াডাঙ্গা, 11) মোঃ রাজন (36), পিং-আমজাদ হোসেন, সাং-জয়ভোগা, দৌলতপুর, 12) মোঃ আশরাফুল ইসলাম (35), পিং-মোঃ শহিদুল ইসলাম, সাং-কল্যানপুর, দৌলতপুর, 13)মোঃ রাজা (52), পিং-মৃত রাফেজ উদ্দিন, সাং-সাতবাড়ীয়া, ভেড়ামারা, 14) মোঃ বাস্তু (50), পিং-মৃত: ছলিমুদ্দিন, সাং-খাদেমপুর, মিরপুরম, 15) মোঃ আসান বিশ্বাস (50), পিং-মৃত: আজিজুল হক, সাং-নওদা খাদিমপুর, মিরপুর, 16) মোঃ বাবু হোসেন (38), পিং-মোঃ মোজাহার, সাং-কাচারীপাড়া, 17) মোঃ জিল্লুর রহমান (42), সাং-ছোবহান আলী, সাং-নলখোলা, শৈলকুপা, ঝিনাইদহ, 18) মোঃ রনি (35), পিং-ইকরাম শেখ, সাং-শৈলকুপা, ঝিনাইদহ। প্রকাশ্য জুয়া খেলার অপরাধে (প্রকাশ্য জুয়া আইন, ১৮৬৭ এর ০৪ ধারায় দোসী সাব্যস্ত হইয়া উভয়কে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
বিজিবি’র, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে আঠারো জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে খেলার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে বিজিবি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘জুয়া খেলার অপরাধে তাদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান আরও জোরদার করা হবে।