বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের চৌরাস্তা প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন করেন বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ভিপি অমর কৃষ্ণ দাস, যুগ্ম – সাধারণ সম্পাদক ভিপি শামীম খান, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা নোমান আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ সুইট, জেলা পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সন্তোষ কুমার কানু, ( ভারপ্রাপ্ত) সাধারণ সম্পাদক মানিক সাহা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস, সহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন। চৌরাস্তা থেকে যমুনা নদীর তীঁরে হাজার হাজার ভক্তের উপস্থিতিতে দেবী দুর্গার প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
এ সময় সেখানে ছিল বিষাদের সুর। যমুনা নদীর তীঁর এলাকায় দেখা যায়, গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি অপেক্ষা করে বিকেল থেকেই ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টার বাজনার তালে তালে শহর ও বিভিন্ন যায়গাঁ মন্দির ও মহল্লা থেকে শোভাযাত্রা করে প্রতিমাগুলো যমুনা নদীর তীরে আনা হয়। পরে নৌকাযোগে সেগুলো নিয়ে যাওয়া হয় নদীর মাঝখানে, সেখানে সম্পন্ন করা হয় বিসর্জন।এ সময় ভক্তদের কারও চোখে দেখা যায় অশ্রু, কারও ঠোঁটে শোনা যায় দেবীর বন্দনা। কেউবা নদীর পানি ছিটিয়ে নিচ্ছিলেন নিজের ও পরিবারের সদস্যের শরীরে। আগত দীপঙ্কর সাহা জানান, এই কয়েকটা দিন যেন স্বপ্নের মতো কেটেছে। মা দুর্গা আমাদের মাঝে ছিলেন, তাই আনন্দে ভরে উঠেছিল চারপাশ। কিন্তু আজ মা চলে যাচ্ছেন, সেই কষ্টে বুকটা ভরে উঠছে। আবারও এক বছরের অপেক্ষা। এবারের পূজায় আমি বিশেষ প্রার্থনা করেছি যেন আমাদের দেশ শান্তিময় হয়, সবার জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি নেমে আসে।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রতি শরতে দেবী দুর্গা স্বামীর বাড়ি কৈলাস ছেড়ে কন্যারূপে পিতৃগৃহে আগমন করেন। পক্ষকাল পর তিনি ফিরে যান স্বামীগৃহে। এ পাঁচদিন ভক্তরা দেবীর বন্দনা, পূজা ও উৎসবে মেতে ওঠেন। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে দেবীকে বিদায় জানালেও অন্তরে থেকে যায় আগামী বছরে তার পুনরাগমনের প্রত্যাশা।