মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
গ্রাহকদের সোনা আত্মসাৎ করতে মানিকগঞ্জ শহরে সোনার দোকানের মালিক নিজের দোকানে ডাকাতির নাটক সাজিয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোনার দোকানের মালিকসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে লুট হওয়া ৩৯ ভরি স্বর্ণালংকার।আজ সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াছমিন খাতুন মানিকগঞ্জ সদর থানা প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। এর আগে গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকারপট্টি এলাকায় একটি দোকানে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোনার দোকানের মালিক শুভ দাশ (৩৫), আমানত হোসেন (২০), সোহান মিয়া (২১), শরীফ খান (২২) ও মো. সবুজ মিয়া (২৭)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার ইয়াছমিন খাতুন জানান, শনিবার দিবাগত রাতে জেলা শহরের স্বর্ণকারপট্টি এলাকায় শুভ দাশের সোনার দোকানে স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনা ঘটে। শুভ দাশ নিজের দোকানে এই স্বর্ণালংকার লুটের মূল পরিকল্পনাকারী।
তিনি পাঁচ লাখ টাকার মৌখিক চুক্তিতে বিভিন্ন গ্রাহকের স্বর্ণালংকার আত্মসাতের জন্য ভাড়াটে লোক দিয়ে নিজের দোকানে ডাকাতির নাটক সাজান। শুভ দাশের কথামতো ভাড়াটে লোক তাঁর দোকানে স্বর্ণালংকার লুট করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শুভ দাশকে ধারালো চাকু দিয়ে কয়েকটি আঘাত করা হয়।পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনার পরপরই পুলিশ কাজ শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ পৌরসভার পৌলি গ্রাম থেকে আমানত হোসেনকে আটকের পর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আটক হওয়া যুবক ওই দোকানে স্বর্ণালংকার লুটের কথা স্বীকার করেন।
পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সোহান, শরীফ ও সবুজকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের ও দোকানের মালিক শুভ দাশের বাড়ি থেকে মোট ৩৯ ভরি ৭ আনা স্বর্ণালংকার উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া ডাকাতিতে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও একটি ছুরি জব্দ করা হয়। আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।