বিনোদন প্রতিনিধি
ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ছিলেন কাস্টিং সহকারী। প্রতিদিন কত তরুণ-তরুণীর অডিশন নিতেন; অভিনয় দেখা, চরিত্র বোঝা, উপযুক্ত শিল্পী বাছাই করা ছিল কাজের অংশ। সেখান থেকেই ধীরে ধীরে অভিনয়ের জগতে পা রাখলেন দীক্ষা জুনেজা। এখন তাঁকে নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত বলিউড ও ওটিটি-পাড়া। নেটফ্লিক্সের সাম্প্রতিক জনপ্রিয় সিরিজ ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’-তে পাকিস্তানি তরুণী নাসিম চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি।
ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীক্ষা অকপটে স্বীকার করেন—অর্থই তাঁকে অভিনয়ে টেনে এনেছিল। ‘সত্যি বলতে কি, আমার অভিনয়ে আসার পেছনে প্রথম অনুপ্রেরণা ছিল টাকা। মুম্বাই শহরটা খুবই ব্যয়বহুল। কাস্টিং সহকারী হিসেবে যা উপার্জন করতাম, তাতে টিকে থাকা কঠিন। অথচ একজন নতুন অভিনেতা মাত্র কয়েক দিন কাজ করেই প্রায় সমপরিমাণ পারিশ্রমিক পান। তখন মনে হলো, আমি নিজেই কেন চেষ্টা করব না? জীবনে সব সময় নিজের হাতখরচ নিজে চালানোর অভ্যাস। কলেজজীবনেও নিজের পকেটমানি নিজেই উপার্জন করতাম,’ বললেন দীক্ষা।
দীক্ষার প্রথম কাজ ছিল আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবির কাস্টিং টিমে। ‘গীতা’ আর ‘ববিতা’ চরিত্রের জন্য অভিনয়শিল্পী বাছাই করতে ছয় মাস ধরে দেশজুড়ে অডিশন নিয়েছিলেন তিনি। ‘হাজারের বেশি অডিশন নিয়েছি আমরা। স্কুল, খেলাধুলার একাডেমি, নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে উপযুক্ত মুখ খুঁজেছি। ‘দঙ্গল’-এর মতো এতটা নিবেদিত টিম আমি আর দেখিনি। আমির (খান) স্যার আর নীতেশ (তিওয়ারি) স্যার সব বিষয়ে তীক্ষ্ণ নজর রাখতেন, আমাদের নিয়মিত পরামর্শ দিতেন। তাঁদের সেই নিষ্ঠা আমাকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছিল,
বললেন দীক্ষা। অভিনয়ে আসার শুরুটা অর্থের প্রয়োজনে হলেও এখন দীক্ষা অভিনয়কে নিজের আত্মপ্রকাশের মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। ‘আজ আর শুধু অর্থের জন্য নয়; বরং অভিনয় আমাকে তৃপ্তি দেয়। আমি চাই, নাসিমের মতো চরিত্রের মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের শিল্পীসত্তাকে সমৃদ্ধ করতে। প্রতিটি চরিত্র আমাকে নতুন কিছু শেখাক, নতুন কিছু অনুভব করাক।ইতিমধ্যে তাঁকে দেখা গেছে ‘রাজমা চাওয়াল আর দ্য জোয়া ফ্যাক্টর’-এর মতো ছবিতে। ছোট চরিত্র হলেও তাঁর অভিনয় দর্শকের নজর কেড়েছিল। তবে নেটফ্লিক্সের ‘সারে জাহাঁ সে আচ্ছা’-ই তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে।