1. admin@dainiksattoprokash.com : admin :
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
তিতাসের দাসকান্দিতে ইব্রাহিমকে মারধর করার অভিযোগ সাভারে অসুস্থ সাংবাদিককে দেখতে হাসপাতালে সহকর্মীরা ধান লাগাই দেমু :হাসনাত আব্দুল্লাহ ঘুসিতে বিমানের মনিটর চুরমার, যে ব্যবস্থা নিল কর্তৃপক্ষ ভেড়ামারায চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন্ধন ভেড়ামারায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সেবনের দায়ে স্বামী-স্ত্রী সহ আটক ৫ জন কাউনিয়ার মীরবাগে অ্যানথ্রাক্স প্রতিরোধে জনসচেতনতা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বহুমুখী পরিবহণ পরিকল্পনা গ্রহণ করছে সরকার টাইফয়েডের টিকা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই: সায়েদুর রহমান ঈশ্বরগঞ্জের ওসি ওবায়দুর রহমানের অপসারণের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

তিতাসের কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি

মোঃ হানিফ মিয়া, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৯৫ ০ বার পঠিত
মো:হানিফ মিয়া
কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের কেশবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির অভিযোগে এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এঘটনায় বিদ্যালয় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।সরেজমিনে জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলী গোফরান খান ২০১২ সালে যোগদানের পর থেকেই একচ্ছত্র ক্ষমতা নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণ, দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক, স্থানীয় জনগণ ও কিছু শিক্ষক।
অভিযোগকারীরা জানান, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান মারাত্মকভাবে নেমে গেছে।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৩৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০ জন অকৃতকার্য হয়েছে। একইসঙ্গে ২৫ জন ছাত্রী টিসি নিয়ে অন্যত্র চলে গেছে।
তারা অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের আচরণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে খুবই খারাপ। বিদ্যালয়ের কমিটি গঠনেও কাউকে অবগত না করে একক সিদ্ধান্ত নেন তিনি।তিতাস উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম মানিক ,জগতপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. ছানাল্লাহ‌ , সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মোর্শেদ আলমসহ স্থানীয় বেশ কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন,সবচেয়ে বড় কথা তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল।
শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি ও দুই শতাধিক বই সযত্নে সংরক্ষণ করেছেন। এ ছাড়া কিছু শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলেও তিনি তাদের পক্ষ নিয়ে সাফাই গেয়েছেন।”অভিযোগ রয়েছে, বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধনের আগেই ধসে পড়ে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক গোপনে সই করে ঠিকাদারকে বিল তুলতে সহায়তা করেছেন। বিনিময়ে তিনি আর্থিক সুবিধা পেয়েছেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
এছাড়া শিক্ষক নিবাসের প্রতিমাসের বিদ্যুৎ বিলের দুই হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আলী গোফরান খান বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমি যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও ছাত্রছাত্রীদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন ভবনের ব্যাপারে আমি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। কিছু মহল ব্যক্তি স্বার্থে  আমাকে হেয় করার চেষ্টা করছে।”
আর বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি ও বই আমি সংরক্ষণ করিনি।  এগুলো লাইব্রেরির এক কোণে  রাখা ছিলো। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময় চিঠি দিয়ে বই কিনতে বাধ্য করতো। আর আমি কোন দল করি না। তবে বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।  তারা হুশিয়ারি দিয়ে জানান, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষকের অপসারণ না করলে যে কোন মুহূর্তে অঘটন ঘটতে পারে।
Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© ২০২৫ দৈনিক সত্য প্রকাশ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।