সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে হাতে তৈরি পাদুকা শিল্প দিন দিন বিকশিত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর শুরু হওয়া এই শিল্প এখন স্থানীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বর্তমানে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছোট বড় ১২ থেকে ১৫টি জুতা তৈরির দোকান ও কারখানা গড়ে উঠেছে।যেখানে প্রতিদিন কর্মব্যস্ত সময় কাটান বহু কারিগর।
স্থানীয় কারিগরদের দক্ষতায় তৈরি এসব জুতা শুধু সৈয়দপুরেই নয়, বরং উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় চাহিদা পাচ্ছে। কম দামে টেকসই পণ্য পাওয়ায় ক্রেতারাও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
জুতা ব্যবসায়ী সুমন আশরাফী জানান, “১৩ বছর আগে আমি হাতে তৈরি জুতার ব্যবসা শুরু করি। এখন আমার দোকানের জুতা ও চামড়ার স্যান্ডেল দিনাজপুর, ফুলবাড়িসহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে চারজন কারিগর আমার দোকানে কাজ করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “অন্যান্য এলাকায় জুতার কারখানা থাকলেও সৈয়দপুরের তৈরি জুতা ও স্যান্ডেলের মান ও স্থায়িত্বের কারণে চাহিদা বেশি।”
ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “এখানকার দোকানগুলোতে একটি চামড়ার জুতা হাজার থেকে বারোশো টাকায় পাওয়া যায়, যেখানে বাজারের শোরুমে একই মানের জুতা বিক্রি হয় তিন হাজার টাকায়। দাম সাশ্রয়ী, আর ব্যবহারেও টেকসই।”
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, কম খরচে উৎপাদন, মানসম্পন্ন চামড়া এবং অভিজ্ঞ কারিগরের কারণে সৈয়দপুরের হাতে তৈরি পাদুকা এখন উত্তরবঙ্গের বাজারে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় শতাধিক কারিগর ও শ্রমিকের জীবিকা চলছে এ খাতকে ঘিরে।