1. admin@dainiksattoprokash.com : admin :
শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

এবার জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল আফ্রিকার আরেক দেশ

সংবাদ দাতার নাম
  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১ অক্টোবর, ২০২৫
  • ৯০ ০ বার পঠিত

 

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মাদাগাস্কারের পর এবার আফ্রিকার মরক্কোতে টানা চতুর্থ দিনের মতো জেন জি বিক্ষোভ চলছে। মঙ্গলবার রাতেও সহিংসতায় রূপ নেয় আন্দোলন। দেশজুড়ে শত শত যুবক রাস্তায় নেমে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং দুর্নীতি কমানোর দাবি জানায়।

স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর নিক্ষেপ করেছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়ি ও ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। মরক্কোর মানবাধিকার সংগঠন এএমডিএইচ অভিযোগ করেছে, নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে এবং নির্বিচারে গ্রেফতার করেছে।

ওউজদা শহরে এক বিক্ষোভকারী পুলিশ গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন বলে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ম্যাপ জানিয়েছে।

এই আন্দোলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ‘জেন জি ২১২’ নামে একটি যুব সংগঠন এর ডাক দেয়। যদিও সংগঠনটি দুঃখ প্রকাশ করেছে কিছু জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায়, তবে অংশগ্রহণকারীদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের ভাষায়, আমাদের ন্যায্য দাবির বৈধতাকে খাটো করবে এমন আচরণ থেকে বিরত থাকুন।

বিক্ষোভকারীরা স্লোগানে উন্নত স্বাস্থ্য ও শিক্ষা সেবা এবং কর্মসংস্থানের দাবি তুলেছেন। অনেকে আবার ২০৩০ ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম নির্মাণে ব্যয়ের সমালোচনা করেছেন। এক বিক্ষোভকারীর হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল: ‘অন্তত ফিফা স্টেডিয়ামে ফার্স্ট এইড কিট থাকবে! আমাদের হাসপাতালে তো সেটাও নেই।’

এই বিক্ষোভ এশিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের সাম্প্রতিক যুব আন্দোলনের সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। চলতি গ্রীষ্মে নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন ও মাদাগাস্কারে তরুণদের নেতৃত্বে বড় আন্দোলন হয়েছে। নেপালে আন্দোলনের চাপে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেন, আর মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট সোমবার সরকার ভেঙে দেন।

মরক্কোয় এ পর্যন্ত অনেক বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করা হলেও অধিকাংশকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এএমডিএইচ জানিয়েছে, এখনও ৩৭ জন তরুণের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

সরকারি জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা যুবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী এবং সমস্যার বাস্তবসম্মত সমাধান খুঁজে বের করতে চায়। একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর ‘আইনসঙ্গত ও ভারসাম্যপূর্ণ’ ভূমিকার প্রশংসা করেছে তারা।

সূত্র: বিবিসি

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও খবর
© ২০২৫ দৈনিক সত্য প্রকাশ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।