মোঃ শফিকুল ইসলাম
মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক এমবি বাকেরকে তার দলীয় পদ থেকে অপসারণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে জুলাই যোদ্ধারা। তারা বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেলা আমিরকে পদ থেকে অপসারণ না করা হলে তারা কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন।
বৃহস্পতিবার সকালে ১১ টায় মহম্মদপুর প্রেসক্লাবে জুলাই যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
মোঃ শাহাবুদ্দিন মোল্লা পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের আওয়ামীলিগ এর অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদধারী নেতা এবং জুলাই আন্দোলনে নিহত আহাদ-সুমনের হত্যা মামলার আসামি, এবং তিনি এখন জেল হাজতে আছেন।
জুলাই নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন শাহাবুদ্দিনের জামিনে সহযোগিতা করার জন্য “সে জামাতে ইসলামের কর্মী” দাবি করে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামির আমির এমবি বাকের মিয়া তাকে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করেছেন। তারা আরো দাবী করেন এর আগেও কয়েক জনকে এই ধরনের মিথ্যা প্রত্যয়ন পত্র প্রদান করা হয়েছে, যার ফলে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বেশ কয়েকজন আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছে। বক্তারা এ ঘটনাকে শহীদদের আত্মত্যাগের সাথে বেইমানি এবং প্রত্যয়নপত্রের মাধ্যমে শহীদদের লাশ বিক্রি হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
তারা আরও বলেন, এটি জামায়াতে ইসলামীর দলীয় সিদ্ধান্ত নয় বরং ব্যক্তিস্বার্থে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার। অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রত্যয়নপত্র প্রদান করায় জেলা জামায়াত আমিরের অপসারণের দাবি জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত শহীদ সুমনের মা অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে বলেন,
“আন্দোলনে নিহত আমি এক সন্তানহারা মা। আমার সন্তানের হত্যার বিচার আজও পাইনি। অথচ জামায়াতের আমির হত্যাকারীদের মামলায় জামিনের জন্য প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন। এটি আমার সন্তানের লাশের সাথে বেইমানি।
তিনি জেলা আমিরের এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং পদ থেকে অপসারণের জোর দাবি উত্থাপন করেন।
অন্যদিকে, অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক এমবি বাকের হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,
আমার কাছে অনেকেই প্রত্যয়ন নিতে আসে। কয়েকজন তাদের প্রকৃত পরিচয় গোপন করে আমার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছে। পরবর্তীতে জানা গেছে, তাদের মধ্যে আওয়ামী পরিবারের সদস্য, দলীয় পদধারী এবং আহাদ-সুমন হত্যা মামলার আসামি ছিল, এটি আমার অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল।